HSC 2021 Civics Assignment Answer: Every week a new assignment notice has been published by the Department of Secondary and Higher Education on their official website. Civics assignment solution is 2 parts. Every week 2 assignment notices have been released dshe.gov.bd.
In order to the education minister every week a new assignment has been published by the Department of Secondary and Higher Education (dshe). These assignment tasks are sent to dshe.gov.bd. HSC 2021 Civics Assignment Answer 2021 For Humanities group of students most important topics is Civics at total marks of 50.
Now, get ready for the assignment solution. For this you can print out this assignment. Carefully reading this assignment & we are trying its solution. For you the best way is to follow the textbook & otherwise follow to our website- jobnewsbd24.com.
HSC 2021 Civics Assignment
Now, For the studying students HSC Batch 2021 slowly read the assignment and solutions have been taken for the textbook. Students need the assignment of downloading a visit to their official website. All week assignments have been submitted to the dshe.gov.bd web portal website.
HSC Assignment 2021 Civics Answer
ভূমিকা:
রাষ্ট্রের সাথে নাগরিকদের এবং অন্যান্য সামাজিক প্রতিষ্ঠানের
সাথে রাষ্ট্রের সম্পর্ক নিয়ে আলােচনার মধ্য দিয়ে জ্ঞানচর্চার সুনির্দিষ্ট একটি ধারা হিসাবে পৌরনীতি প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। আধুনিককালে প্রত্যেক নাগরিক ও সংগঠন রাষ্ট্রের নিকট হতে অধিকতর দায়িত্বসম্পন্ন সেবা প্রত্যাশা করে। এমনত বাস্তবতায় , পৌরনীতির
আলােচনায় সুশাসন বিষয়টি প্রাধান্য পাচ্ছে।
পৌরনীতি ও সুশাসনের পরিধিঃ পৌরনীতি ও সুশাসনের পরিধি ব্যাপক। পৌরনীতি ও সুশাসনের পরিধি সম্পর্কে নিম্নে আলােচনা করা| হল ।
১/ নাগরিকতা বিষয়কঃ পৌরনীতি ও সুশাসন মূলত নাগরিকতা বিষয়ক বিজ্ঞান। নাগরিকের উত্তম ও মর্যাদাপূর্ণ জীবন প্রতিষ্ঠা করা পৌরনীতি ও সুশাসনের প্রধান লক্ষ্য। পৌরনীতি ও সুশাসন নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য, সচেতনতা, সুনাগরিকতা, নাগরিকতা অর্জন ও বিলােপ, নাগরিকতার অর্থ ও প্রকৃতি, সুনাগরিকের গুণাবলি প্রভৃতি সম্পর্কে আলােচনা করে।
২/ মৌলিক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত: মৌলিক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত ও মানব সভ্যতার ইতিহাসে পরিবার হল আদি ও অকৃত্রিম প্রতিষ্ঠান। কালের বিবর্তন ধারায় পরিবারের সম্প্রসারণ হয়েছে এবং গড়ে উঠেছে রাষ্ট্র ও অন্যান্য বহুবিধ সামাজিক এবং রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। পৌরনীতি ও সুশাসন পরিবার থেকে শুরু করে সমাজ, রাষ্ট্র, রাষ্ট্রের উৎপত্তি ও বিকাশ, রাষ্ট্রের কার্যাবলি প্রভৃতি মৌলিক প্রতিষ্ঠান পৌরনীতি ও সুশাসনের অন্তর্ভুক্ত।
৩/ রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আলােচনাঃ পৌরনীতি ও সুশাসনের সাথে রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানসমূহ ওৎপ্রােতভাবে জড়িত। রাষ্ট্র , রাষ্ট্রের ধারণা, রাষ্ট্রের উৎপত্তি , রাষ্ট্রের কার্যাবলি , রাষ্ট্র সম্পর্কে বিভিন্ন মতবাদ , রাষ্ট্রের উপাদান , সংবিধান , সংবিধানের শ্রেণিবিভাগ, সংবিধানের বৈশিষ্ট্য , সরকার , সরকারের শ্রেণিবিভাগ , সরকারের বিভিন্ন অঙ্গ , জনমত , জনমতের বাহন। নির্বাচকমন্ডলী, রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশন প্রভৃতি পৌরনীতি ও সুশাসনের আলােচনার অন্তর্ভুক্ত।
৪। সামাজিক ও রাজনৈতিক বিমূর্ত বিষয় নিয়ে আলােচনা : পৌরনীতি ও সুশাসন সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনের বিভিন্ন বিমূর্ত বিষয় নিয়ে আলােচনা করে। আইন, আইনের উৎস ও প্রকৃতি, আইন ও নৈতিকতা , স্বাধীনতা, স্বাধীনতার প্রকৃতি স্বাধীনতার রক্ষাকবচ, সাম্য ও স্বাধীনতা, সাম্যের প্রকারভেদ প্রভৃতি সম্পর্কে পৌরনীতি ও সুশাসন আলােচনা করে।
৫। রাজনৈতিক ঘটনাবলি: পৌরনীতি ও সুশাসন রাজনৈতিক বিভিন্ন ঘটনাবলি নিয়ে আলােচনা করে। যেমন বাংলাদেশে পৌরনীতি ও সুশাসন পলাশীর যুদ্ধ , সিপাহী বিদ্রোহ, ১৯৪০ সালের লাহাের প্রস্তাব ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৬৬ সালের ছয় দফা , ১৯৬৯ সালের গণ অভ্যুত্থান, ১৯৭০ সালের নির্বাচন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ, সামরিক অভুত্থান ইত্যাদি রাজনৈতিক পর্যায় সম্পর্কে আলােচনা করে।
৬/ সুশাসন সম্পর্কে আলােচনা : পৌরনীতি ও সুশাসন রাষ্ট্রের সুশাসনের বহুমাত্রিক ধারণা সম্পর্কে আলােচনা করে। সুশাসনের উপাদান , সুশাসনের সমস্যা, সুশাসনের সমস্যার সমাধান , সুশাসনের সমস্যা সমাধানে সরকার ও জনগণের ভূমিকা সম্পর্কে পৌরনীতি ও| সুশাসন আলােচনা করে।
৭/ নাগরিকের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে আলােচনা ও পৌরনীতি ও সুশাসন | নাগরিকের অধিকার ও কর্তব্যের বর্তমান স্বরূপ সম্পর্কে আলােচনা করে এবং এর মাধ্যমে ভবিষ্যৎ নাগরিক জীবনের আদর্শ ও স্বরূপের ইঙ্গিত প্রদান করে।
৮/ নাগরিকের স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিক নিয়ে আলােচনা ? পৌরনীতি ও সুশাসন নাগরিকের সামাজিক ও রাজনৈতিক কার্যাবলির সাথে সম্পৃক্ত স্থানীয় সংস্থার ( যেমন, ইউনিয়ন পরিষদ , উপজেলা পরিষদ পৌরসভা, জেলা পরিষদ, সিটি কর্পোরেশন ইত্যাদি) গঠন, ক্ষমতা ও কার্যাবলি নিয়ে আলােচনা করে। নাগরিকের জাতীয় বিষয় ( যেমন , স্বাধীনতা আন্দোলনের | পটভূমি, মুক্তিযুদ্ধ , বিভিন্ন জাতীয় নেতার অবদান , দেশ রক্ষায় নাগরিকের ভূমিকা , জাতীয় রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাসমূহ ) সম্পর্কে আলােচনা করে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠন এবং বিভিন্ন ঘটনাবলি সম্পর্কেও পৌরনীতি ও সুশাসন আলােচনা করে।
৯/ নাগরিক জীবনের সাথে সম্পৃক্ত বিষয়াদি: পৌরনীতি ও সুশাসন আধুনিক নাগরিক জীবনের সাথে সম্পৃক্ত বিভিন্ন বিষয়াবলি নিয়ে আলােচনা করে। বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সমস্যার সমাধানও পাওয়া যায় এর মাধ্যমে। যেমন ইভটিজিং, দুর্নীতি, ইলেকট্রনিক গভর্নেন্স ( ই – গভর্নেন্স) , দারিদ্র বিমােচনের মত বিষয়গুলির আলােচনা পৌরনীতি ও সুশাসনের পরিধিকে সমৃদ্ধ করেছে।
১০/ সুশাসন ও ই-গভর্নেন্স: পৌরনীতি ও সুশাসন বর্তমান সময়ে সুশাসন ও ই – গভর্নেন্স নিয়ে আলােচনা করে। সরকার কিভাবে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা আইনের শাসন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, নিরপেক্ষ নির্বাচন, দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ, দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তুলতে পারে সে বিষয়ে পৌরনীতি ও সুশাসন আলােচনা করে। পরিশেষে বলা যায় যে, পৌরনীতি ও সুশাসনের পরিধি ও বিষয়বস্তু ব্যাপক ও বিস্তত। নাগরিকের জীবন ও কার্যাবলি যতদূর পর্যন্ত বিস্তত পৌরনীতি ও সুশাসনের পরিধিও ততদূর পর্যন্ত বিস্তত।
সুশাসনের বৈশিষ্ট্যঃ
সুশাসনের মৌলিক ও প্রাথমিক চরিত্র হচ্ছে সুশাসনের আওতায় সকল কাজ হবে অপব্যবহার ও দুর্নীতিমুক্ত এবং ন্যায়পরায়ণভিত্তিক ও আইনের শাসনের প্রতি শর্তহীনভাবে অনুগত। সুশাসনের এই চরিত্র বা বৈশিষ্ট্য বিস্তারিতভাবে আলােচনা করলে তা কযেকটি বিষয়ের ওপর গুরুত্বারােপ করে। নিম্নে এ সম্পর্কে আলােচনা করা হল:
(ক) অংশগ্রহণ : নারী – পুরুষ নির্বিশেষে শাসনের কাজে সকলের। প্রত্যক্ষ বা পরােক্ষ অংশগ্রহণ হচ্ছে সুশাসনের অন্যতম ভিত্তি। রাষ্ট্রের আয়তন ও জনসংখ্যা অধিক হওয়ার কারণে বর্তমানকালে প্রত্যক্ষভাবে সকলে শাসন কার্যে অংশগ্রহণ করতে পারে না। সে কারণে পরােক্ষ অংশগ্রহণের অর্থ হচ্ছে , বৈধ ও কার্যকরী যে কোন সংগঠন গড়ে তােলার স্বাধীনতা এবং এসব সংগঠনের মাধ্যমে মতামত প্রকাশের অবারিত সুযােগ। শুধু তাই নয়, রাষ্ট্রের সুশীল সমাজকেও নিরপেক্ষ, কল্যাণকর ও সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্যে সুসংগঠিত থাকতে হবে।
নিরপেক্ষ নগত কাঠামেধুপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল
(খ) আইনের শাসন : সুশাসনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে আইনের শাসন। সুশাসনের জন্য এমন আইনগত কাঠামাের উপস্থিতি প্রযােজন যা আইন প্রযােগের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনে সক্ষম। নিরপেক্ষভাবে আইন প্রযােগের বিশেষভাবে প্রযােজন মানবাধিকার সংরক্ষণ , বিশেষ করে চরম দরিদ্র ও দরিদ্র জনগােষ্ঠী এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য। আবার এসব কিছুর জন্য প্রযােজন স্বাধীন বিচার বিভাগ এবং নিরপেক্ষ ও দুর্নীতিমুক্ত আইন প্রয়ােগকারী সংস্থা।
(গ) স্বচ্ছতা : সাধারণভাবে স্বচ্ছতা বলতে সিদ্ধান্ত গ্রহণে ও তা বাস্তবায়নে আইনসম্মত পদ্ধতি অবলম্বন করাকে বােঝায়। কেবল তাই নয় , স্বচ্ছতা দ্বারা এটিও বুঝানাে হয় যে, আইনসম্মতভাবে গৃহীত সিদ্ধান্ত ও তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে যারা প্রভাবিত হবে তাদের জন্য সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে তথ্য প্রবাহ অবাধ করা এবং তথ্য জানার অধিকার উন্মুক্ত করা। একথার অর্থ হচ্ছে তথ্য প্রবাহ যেন সকল স্তরের জনগণের কাছে সহজবােধ্য হয় এবং বিভিন্ন মাধ্যমে সকলের কাছে পৌছায়।
(ঘ) সংবেদনশীলতা: সংবেদনশীলতা হচ্ছে শাসনযন্ত্রের এমন দক্ষতা, যােগ্যতা ও সামর্থ্য যার মাধ্যমে জনসাধারণের বিশেষ করে প্রান্তিক জনগােষ্ঠীর মর্যাদাপূর্ণ জীবন যাপনের জন্য সকল বৈধ প্রযােজন | ও দাবী – দাওয়া যথাসময়ে পূরণ করা সম্ভব হয়। অর্থাৎ , সরকার জনগণের আশা – আকাঙ্ক্ষা পূরণে যথাসময়ে সাড়াদানে প্রস্তুত থাকাটাই সংবেদনশীলতা।
পৌরনীতি ও সুশাসনের ক্রমবিকাশঃ
পৃথিবীর যেকোনাে দেশের সরকার সব | সময়ই প্রত্যাশা করেন যে, তাদের দ্বারা পরিচালিত শাসনব্যবস্থা সুষুঠভাবে পরিচালিত হােক। উন্নত শাসন সংক্রান্ত চিন্তার বিবর্তনের মধ্যে দিয়েই প্রতিষ্ঠিত। হয়েছে বর্তমানের সুশাসন সংক্রান্ত ধারণা। এক কথায় বলা যায়, বর্তমানে সুশাসনের ধারণাটি সময়ের বিবর্তনে গড়ে উঠা একটি বিষয়। পৌরনীতিতে নাগরিক জীবনের সমাগ্রিক দিক ফুটে ওঠে। আর সুশান পৌরনীতির একটি অংশ, যাতে নাগরিক শাসন সম্পর্কিত দিক তুলে ধরা হয়। | এই দিক থেকে পৌরনীতি ও সুশাসন একই সূত্রে গাঁথা বলা যায়। পৌরনীতির উদ্দেশ্য হলাে নাগরিককে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তােলা এবং উত্তম নাগরিক জীবনের দিক নির্দেশনা দেওয়া। আর সুশাসনের উদ্দেশ্য হলাে শাসন প্রক্রিয়াকে উন্নত ও কল্যাণমুখী করে গড়ে তােলা এবং নাগরিকদের উত্তম জীবন নিশ্চিত করা। সুতরাং বলা যায়, পৌরনীতি ও সুশাসনের উদ্দেশ্য এক ও অভিন্ন।